শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

| ৯ মাঘ ১৪৩১

পাল-শিমোনাকা স্মারকভবন

প্রবীর বিকাশ সরকার

পাল-শিমোনাকা স্মারকভবন

জাপানের সঙ্গে দুই বাংলা ও বাঙালির সম্পর্ক যে কত গভীর এবং নানা দিকে বিস্তৃত তার ইতিহাস শতবর্ষের অধিক পুরনো এবং প্রায় অজানা বললেই চলে। যেমন পাল এবং শিমোনাকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা ক’জনইবা জানি! পাল মানে একদা টোকিও মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল-খ্যাত বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী বাঙালি বিচারপতি ও শিক্ষাবিদ ড.রাধাবিনোদ পাল (১৮৮৬-১৯৬৭) এবং শিমোনাকা ইয়াসাবুরোও (১৮৭৮-১৯৬১) জাপানের শীর্ষস্থানীয় মর্যাদাসম্পন্ন প্রকাশনা সংস্থা হেইবোনশা পাবলিশার কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষাবিদ, মৃৎশিল্পী এবং শ্রমিক আন্দোলনের শীর্ষনেতা। 

বিচারপতি পাল জন্মেছিলেন অবিভক্ত ভারতের নদীয়া জেলা তথা বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামে এক অতিদরিদ্র পরিবারে। শিমোনাকা হিয়োগো প্রিফেকচারের তাকিগুন কোনদাচোও নামক গ্রামের এক অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান। দুজনেই শিশুকাল থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। পরিণত বয়সে পালের কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ, নয়াদিল্লি এবং কলকাতা। ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে ১১ বছর গণিতের অধ্যাপক ছিলেন, তারপর দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেগোর ল প্রফেসর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। 

শিমোনাকার কর্মস্থল ছিল ওসাকা এবং টোকিও। যৌবনের উত্থানপর্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা, ১৯১৪ সালে আধুনিক হেইবোনশা পাবলিশার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা, তাইশোও যুগে (১৯১২-১৯২৬) শ্রমিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আজও তিনি স্মরণীয়। একই এশিয়ার দুই প্রান্তের দুজন ব্যক্তির আকস্মিক সাক্ষাৎ ঘটেছিল জাপানে ‘ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল ফর দি ফার ঈস্ট’ সংক্ষেপে ‘টোকিও ট্রাইব্যুনাল’ (১৯৪৬-৪৮) চলাকালীন। আমৃত্যু তাঁদের ভাতৃত্ববন্ধনের পুরোহিত ছিলেন শিমোনাকার একনিষ্ঠ শিষ্য শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক এবং রাজনীতি বিশেষজ্ঞ তানাকা মাসাআকি (১৯১১-২০০৬)। তানাকা ছিলেন বিচারপতি পালের পুত্রসম ভক্ত। জাপানে ‘পা-রু-শিমোনাকা কিনেনকান’ তথা ‘পাল-শিমোনাকা স্মারকভবন’ যেটি এখানে আলোচ্যবিষয় সেটি ১৯৭৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূলত তানাকা মাসাআকির উদ্যোগেই। স্থাপনাটির বয়স এই বছর ৪২ হলো। 

‘পাল-শিমোনাকা স্মারকভবনে’র খোঁজ পেয়েছিলাম ১৯৯৯ সালে যখন আমি ‘হেইবোনশা পাবলিশার কোম্পানি’র সহোদর প্রতিষ্ঠান ফটো প্রিন্টিং কোম্পানিতে প্রযুক্তিবিদ হিসেবে কর্মরত সেইসূত্রে। বিচারপতি রাধাবিনোদ পালের ওপর একটি প্রবন্ধ লেখার জন্য একটি গ্রন্থ আমি বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজছিলাম। গ্রন্থটি তানাকা মাসাআকি রচিত ‘নিহোন মুজাইরোন’ বা ‘জাপান নির্দোষতত্ত্ব’ যা ঐতিহাসিক টোকিও ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কিত। একদিন ফটো প্রিন্টিং কোম্পানির গ্রন্থাগারেই হঠাৎ করে খুঁজে পাই সেটা। বইটি ছিল।  বেস্ট সেলার্স অনেক বছর ধরে এবং সেই সংস্করণটি ছিল ২৭তম। সেটাতে লেখকের নাম, ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর মুদ্রিত ছিল তানাকা স্যার এবং তাঁর সহধর্মিণী আমাকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানালেন। তাঁর বয়স তখন ৮৮ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তাঁর দুটি হাতই কম্পমান। তিনি বেশ উত্তেজিত কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯২০-৭৫) মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি কোনো বাঙালির সঙ্গে হাত মেলালেন! আমি দারুণ কৌতূহলী হলাম মনে মনে, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কী তাঁর কোনো সম্পর্ক ছিল! 

তাঁর স্ত্রী সবুজ চা এনে রাখলেন টেবিলে। বারংবার মাথা নত করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন, বললেন, ‘বিচারপতি পালের দেশের মানুষ তুমি, কী সৌভাগ্য আমাদের আজকে তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে! তিনি তো ঈশ্বর, তিনি জাপানকে নবজীবন দিয়েছেন!’ মাথা নেড়ে-নেড়ে তানাকা স্যারও সমর্থন করতে লাগলেন তাঁর স্ত্রীকে। কী অদ্ভুত শ্রদ্ধা-ভক্তি-সমীহ তাঁদের কণ্ঠে আমি তো বাকরহিত বিস্মিত! কী বিপুল শ্রদ্ধাস্পদ মর্যাদায় জাপানিদের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত আছেন বিচারপতি পাল সেদিন প্রায় দেড় ঘণ্টা তানাকা মাসাআকির কাছে নানা ঘটনার কথা শুনে অনুধাবন করতে সক্ষম হলাম! অথচ বিশ্ববরেণ্য এই মহান মানুষটি সম্পর্কে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণ কিছুই জানে না!  

প্রথমেই তানাকা স্যার আমাকে তাঁর বাড়ির বৈঠকখানায় সাজিয়ে রাখা বেশ কিছু ছবি দেখালেন সেখানে গান্ধী, নেতাজি, বিপ্লবী রাসবিহারী বসু, রবীন্দ্রনাথ, বিচারপতি পাল প্রমুখের ছবি তো আছেই পালের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও বিদ্যমান। একসময় তাঁর লিখিত বেশকিছু গ্রন্থ এবং পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রচনার কপি আমার সামনে রাখলেন। ক্রমাগত বলে যেতে লাগলেন মনীষী ওকাকুরা তেনশিন (১৮৬৩-১৯১৩) এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে শুরু করে বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর (১৮৮৬-১৯৪৫) জাপান আগমন, গুরু তোয়ামা মিৎসুরু (১৮৫৫-১৯৪৪) কর্তৃক বিহারী বসুকে বাঁচানো, তাঁর জাপানে বিয়ে, সংগ্রাম, মৃত্যু; সুভাষচন্দ্র বসুর (১৮৯৭-১৯৪৫ ?) আগমন, প্রধানমন্ত্রী হিদেকি তোজো’র (১৮৮৪-১৯৪৮) সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধ করা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে; ইম্ফল অভিযান, জাপানের পরাজয়; টোকিও ট্রাইব্যুনাল, বিচারে পালের ভূমিকা, বিচারপতি পালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, তাঁর গুরু শিমোনাকাকে পালের সঙ্গে পরিচিত করা, বিচারপতি পালের সঙ্গে জাপান ভ্রমণ ১৯৫২, ১৯৫৩ এবং ১৯৬৬ সালে; বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সমর্থন, বঙ্গবন্ধুকে জাপানে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকা গমন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পর্যন্ত এক নাগারে সুদীর্ঘ ইতিহাস বলে গেলেন। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাঁর কথা শুনলাম আর কিছু নোট করলাম। তিনি এতটাই উত্তেজিত ছিলেন যে, তাঁর শোবারঘরে পর্যন্ত নিয়ে গেলেন আরও ছবি দেখাবেন বলে। গিয়ে তাঁর বালিশের কাছে ছোট্ট একটি ফ্রেমে বাঁধানো ছবি দেখে হতবাক্ হয়ে গেলাম! ছবিতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে করমর্দনরত তানাকা মাসাআকি! ছবিটি ১৯৭২ সালে ঢাকায় গৃহীত। রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন শ্রম মন্ত্রী হায়াকাওয়া তাকাশি’র (১৯১৬-৮২) নেতৃত্বে যুদ্ধের সময়কার ‘এফ-কিকানপ্রধান’ লে. জেনারেল ফুজিওয়ারা ইওয়াইচি (১৯০৮-৮৬), তানাকা মাসাআকি এবং একাধিক সাংসদসহ একটি জাপানি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে জাপানে আমন্ত্রণ জানাতে সরকারিভাবে। অজানা এক ইতিহাস উঠে এলো সেদিন। ভাগ্যক্রমে ফ্রেমে দুটি ছবি ছিল তাই একটি ছবি আমাকে তিনি উপহার দিলেন। উপহার দিলেন স্বরচিত ‘নানকিং জিকেন সোওকাৎসু’ বা ‘নানকিং ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ’ নামে অত্যন্ত মূল্যবান একটি গ্রন্থ কম্পিত হস্তে স্বাক্ষর করে। আরও দিলেন রাধাবিনোদ পাল সম্পর্কে ৪০ পৃষ্ঠার একটি অমূল্যসম্পদ ‘পা-রু হাকুশি নো কোতোবা’ বা ‘বিচারপতি পালের বক্তব্য’ নামে একটি পুস্তিকা সেটাও তাঁরই লেখা শিমোনাকা জাইদান ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত ১৯৯৫ সালে এবং ‘পাল-শিমোনাকা মেমোরিয়াল হল’ নামক একটি প্রচারপত্র জাপানি ও ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত। পুস্তিকাটিতে অসামান্য সব তথ্য ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ধৃত আছে বিচারপতি পালের ’৫৩, ’৫৩ এবং ’৬৬ সালে জাপান সফরের সময়কার। তানাকা স্যারের কাছ থেকে আমি দুটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ পেলাম একটি ‘পা-রু-শিমোনাকা কিনেনকান’ এবং অন্যটি য়োকোহামা বন্দরনগরীতে অবস্থিত ‘ওওকুরায়ামা কিনেনকান’, যেখানে গিয়ে পেয়েছি রবীন্দ্রনাথ-জাপান সম্পর্কের অজানা ইতিহাসের আরেক অমূল্য ভান্ডার! 

১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে তানাকা স্যারের সহযোগিতায় হেইবোনশা পাবলিশার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এক রবিবার খুব সকালে শিনজুকু শহর থেকে ওদাওয়ারাগামী ট্রেনে চড়ে কানাগাওয়া-প্রিফেকচারের হাকোনে শহরে এসে নামলাম। সেখান থেকে বাসে করে মোতো হাকোনে নামক স্থানে পাহাড়ের ওপরে ‘পাল-শিমোনাকা কিনেনকান’ ভবনের কাছে পৌঁছলাম। তারপর খানিকটা নির্জন পাহাড়ি রাস্তা হেঁটে একটি মাঝারি গোছের উদ্যানের মতো জায়গায় গেলাম। পাশেই দেখলাম বসতবাড়ি, পাকাদালান একাধিক। উদ্যানে রয়েছে একাধিক স্মারক ফলক যথাক্রমে ‘পাল-শিমোনাকা কিনেনকান’, ‘পাল-শিমোনাকা কিনেনকান হি’, ‘পাল ও শিমোনাকা নো হি’, ‘শাকুসোন সেইরেইদেন’, ‘শুপ্পান হেইওয়াদোও’, ‘সেইদোওবা হোনবু’, ‘সেইদোওবা কাইকান’, গ্যারেজ এবং টয়লেট। উদ্যানের প্রবেশমুখেই স্মারকভবনের সাইনবোর্ড তারপর উক্ত স্মরণীয় ব্যক্তিদ্বয়ের দুটি বাণীর পাথুরে ফলক। এর সামনে দিয়েই হেঁটে গিয়ে মুখোমুখি হলাম ‘শুপ্পান হেইওয়াদোও’ বা ‘প্রকাশনা শান্তি ভবন’ নামক একতলা একটি স্থাপনার সামনে তারই বাঁদিকে কংক্রিটের দোচালা বাড়ি সেটাই গন্তব্যস্থল ‘পাল-শিমোনাকা স্মারকভবন’। একেবারেই নির্জন এই প্রকল্প-প্রাঙ্গণ। ফটক খোলা রাখা হয়েছিল আমার অনুরোধ অনুযায়ী। সাধারণত এটা বন্ধই থাকে কেউ দেখতে যাওয়ার আগে যোগাযোগ করে যেতে হয় তখন তদারককারী তালা খুলে রাখেন। 

স্মারক ভবনে প্রবেশ করেই দেখলাম সামনে রয়েছে দেয়ালে সাজানো দুজনের দুটি ছবি, বিশ্বমানচিত্র তার ওপরে বিচারপতি পাল ও শিমোনাকার দুটি বাণী। নিচে দুটি ফলকে খোদাইকরা এই স্থাপনার উদ্দেশ্য। দুটি সিঁড়ি দুদিকে দোতলার দিকে উঠে গেছে। এটা দোতলা ভবনই কিন্তু বাইরে থেকে বোঝা যায় না। নকশা অসাধারণ! নিচতলায় রয়েছে নিচু টেবিলে অসংখ্য ফাইল, ছবির অ্যালবাম, পত্রিকার কাটিং, বইপত্র, দেয়ালে ছবি, দুজনের জীবদ্দশায় কৃত কর্মকা-ের বৃত্তান্তবর্ণিত কাঠফলক, দুজনের ছবি ও ঘটনার সচিত্র বিবরণী ফলক, টোকিও ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি পালের ব্যবহৃত চেয়ার ইত্যাদি। 

দোতলা দুটি ভাগে বিভক্ত। একদিকে বিচারপতি পালের অন্যদিকে শিমোনাকার। পালের রয়েছে ব্যবহৃত জিনিসপত্র, পোশাক, ট্রাইব্যুনালে ব্যবহৃত পোশাক, জুতা, পাসপোর্ট, কলম, চশমা, চিঠিপত্র, ছেলেবেলা-যৌবন ও বার্ধক্য জীবনের আলোকচিত্র, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও সাক্ষাতকারের কাটিং, জাপানের নিহোন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ‘অনারারি ডিগ্রি ডক্টরেট অব ল’, পালের স্বলিখিত বিভিন্ন ইংরেজি প্রবন্ধ, বক্তৃতার পা-ুলিপি ও বক্তব্য-বাণী ইত্যাদি। অন্যদিকে শিমোনাকারও একই জিনিস রক্ষিত আছে তবে অতিরিক্ত হচ্ছে তাঁর তৈরি মাটির বিভিন্ন তৈজষপত্র। এছাড়া রয়েছে টোকিও মিলিটারি ট্রাইব্যুনালের ইতিহাস এবং বিভিন্ন দুর্লভ গ্রন্থ ও ম্যাগাজিন। 


টোকিও ট্রাইব্যুনালকে মিত্রশক্তি তথা আমেরিকার পাতানো প্রহসন বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি পাল। এও বলেন ‘এটা ছিল ভিক্টর’স জাস্টিস’ অর্থাৎ ‘বিজয়ীর বিচার’। কোনো আন্তর্জাতিক আইন-নীতি-নিয়ম ছাড়াই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে টোকিও মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল সংঘটন করা হয়েছে। যেখানে সততা ও সত্যের কোনো ভিত্তি নেই। চীনে যদি জাপানি সৈন্য গণহত্যার জন্য দায়ী হয়ে থাকে তাহলে আমেরিকাও নিরপরাধ অগণিত শান্তিপ্রিয় মানুষকে আণবিক বোমাদ্বারা হত্যার জন্য দায়ী, আমেরিকারও বিচার হওয়া উচিত। 


সেদিন তিন ঘণ্টা সেখানে ছিলাম। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছি, পড়েছি, নোট করেছি এবং ছবি তুলেছি। বিচারপতি পাল টোকিও ট্রাইব্যুনালের পর ১৯৫২ সালে বন্ধু শিমোনাকার আমন্ত্রণে জাপানে আগমন করেন। হিরোশিমা শান্তি উদ্যানের কাছেই একটি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘হিরোশিমাকেন্দ্রিক শান্তি সম্মেলন’ আয়োজক ছিল ‘জাপান ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন মুভমেন্ট’ নামক আন্তর্জাতিক সংস্থার জাপান শাখা যার প্রধান পরিচালক শিমোনাকা ইয়াসাবুরোও। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন আন্তর্জাতিক শান্তিবাদ আন্দোলণ, শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কাগাওয়া তোয়োহিকো (১৮৮৮-১৯৬০), নোবেল বিজয়ী পদার্থবিদ ইউকাওয়া হিদেও (১৯০৭-৮১), তানাকা মাসাআকিসহ অনেক বুদ্ধিজীবী। সেই শান্তি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি পাল। এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা থেকে শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের সামনেই তিনি অকুণ্ঠচিত্তে আমেরিকা আয়োজিত টোকিও মিলিটারি ট্রাইব্যুনালের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন এশিয়ায় জাপানের বহু আগেই শ্বেতাঙ্গ সাম্রাজ্যবাদীরা আগ্রাসন ঘটিয়েছে। উপনিবেশ স্থাপন করে শত শত বছর এশিয়াবাসীকে অত্যাচার করেছে, অকাতরে মানুষ নিধন করেছে, অজস্র ধনসম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে গেছে। প্রাচ্যের শান্তি বিনষ্ট করেছে। টোকিও ট্রাইব্যুনালকে মিত্রশক্তি তথা আমেরিকার পাতানো প্রহসন বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি পাল। এও বলেন ‘এটা ছিল ভিক্টর’স জাস্টিস’ অর্থাৎ ‘বিজয়ীর বিচার’। কোনো আন্তর্জাতিক আইন-নীতি-নিয়ম ছাড়াই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে টোকিও মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল সংঘটন করা হয়েছে। যেখানে সততা ও সত্যের কোনো ভিত্তি নেই। চীনে যদি জাপানি সৈন্য গণহত্যার জন্য দায়ী হয়ে থাকে তাহলে আমেরিকাও নিরপরাধ অগণিত শান্তিপ্রিয় মানুষকে আণবিক বোমাদ্বারা হত্যার জন্য দায়ী, আমেরিকারও বিচার হওয়া উচিত। এইসব দুঃসাহসী বক্তব্য তিনি ওই সম্মেলন ছাড়াও সেই সময় জাপানের বিভিন্ন শহর যেমন ফুকুওকা, ওসাকা, কানাগাওয়া, টোকিওতে বিভিন্ন সংবর্ধনা সভায় একাধিকবার দিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অনেক পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। টোকিওর ‘সুগামো প্রিজন’ কারাগার যেখানে যুদ্ধাপরাধী বলে অভিযুক্তদেরকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী তোজো হিদেকিসহ সেটা পরিদর্শন করতে যান। প্রধান আসামি হিদেকি তোজোর সঙ্গেও কথা বলেন। তোজোর পরিবারের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি যা মৃত্যু পর্যন্ত বজায় ছিল। টোকিওর সুবিখ্যাত হোনকানজি বৌদ্ধমন্দিরে তাঁর প্রয়াত স্ত্রী শ্রীমতী নলিনীবালা পালের উদ্দেশে শোকসভার আয়োজন করেন পালভক্ত শিমোনাকা ইয়াসাবুরোও। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও আইনজীবীদের সমাবেশে বক্তৃতা করতে গিয়ে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষাগ্রহণের আহবান জানান বিচারপতি পাল। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অতিরিক্ত অনুকরণের সমালোচনা করেন তিনি। জাপানিদেরকে জাপানে ফিরে আসার আবেদনও রাখেন। টোকিও ট্রাইব্যুনাল কেন প্রয়োজন ছিল না বা প্রহসন ছিল অথবা মিত্রশক্তিদ্বারা ২৮ জন যুদ্ধপরাধী বলে অভিযুক্ত আসামিরা কেন তাঁর ইংরেজিতে লিখিত ৭০০ পৃষ্ঠার রায়ে অভিযুক্ত হলেন না সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন। তাঁর সেই রায় তখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। এই রায় সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করারও অনুরোধ ব্যক্ত করেন। 

বিচারপতি রাধাবিনোদ পালের এইসব বক্তব্য-বক্তৃতা-সাক্ষাৎকার প্রকাশিত সংবাদপত্রের কাটিং পাঠ করে আমি অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম আরও বহু ঘটনার কথা জানা যায় ‘পা-রু হাকুশি নো কোতোবা’ বা ‘ড.পালের ভাষ্য’ পুস্তিকাটি ছাড়াও তানাকা মাসাআকি লিখিত একাধিক গ্রন্থ পাঠ করে। জানতে পেলাম, ট্রাইবুন্যাল চলাকালীন আড়াই বছর তিনি টোকিও ইম্পেরিয়াল হোটেলে তাঁর কক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে আনীত ইতিহাস, সংস্কৃতি, আইন ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ৩০০০ গ্রন্থ পাঠ করে রায় লেখায় মগ্ন ছিলেন যখন বাকী দশ জন বিভিন্ন দেশের বিচারপরিতরা বাইরে ঘোরাফেরা ও ভ্রমণে ব্যস্ত ছিলেন। নিজকর্মে কতখানি নিষ্ঠাবান ছিলেন তিনি এতেই বোঝা যায়।  

১৯৫৩ সালেও বিচারপতি পাল জাপানে আগমন করেন শিমোনাকার আমন্ত্রণে ওওকুরায়ামা কিনেনকান ভবনে অবস্থিত ‘ওওকুরায়ামা আধুনিক আধ্যাত্মিক সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রে’ বেদান্ত দর্শন ও ভারতীয় আইন সম্পর্কে বক্তৃতা দেবার জন্য এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। সেবারও তিনি বিভিন্ন জায়গায় যান, বক্তব্য রাখেন। জাপানে তাঁর বহু স্মৃতি। জাপানকে তিনি এতোই ভালোবেসেছিলেন যে, এদেশে মৃত্যুবরণেও তাঁর আপত্তি ছিল না বলে তোজো হিদেকির দৌহিত্রী পরিবেশবাদী কর্মী, ইতিহাস গবেষক ও লেখক শ্রীমতী তোজো ইউকো (১৯৩৯-২০১৩) আমাকে বলেছিলেন। ১৯৯৮ সালে রাধাবিনোদ পালকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ‘প্রাইড’ নামে এর পেছনে শ্রীমতী ইউকোর অবদান রয়েছে। যদিওবা বেশ বিতর্কেরও জন্ম দেয় এই চলচ্চিত্রটি। 
১৯৯৭ সালে পালের একটি সুদৃশ্যমান স্মৃতিফলক কিয়োতোর রিয়োজেন গোকোকু শিন্তোও মন্দিরের প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয় তখন তাঁর পুত্র প্রশান্তকুমার পাল সস্ত্রীক আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। একই রকম আরেকটি স্মৃতিফলক ২০০৫ সালে টোকিওর ইয়াসুকুনি শিন্তোও মন্দিরে স্থাপিত হয়েছে। আরও একটি অনুরূপ স্মৃতিফলক কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে বলে জানা যায়। এই তিনটি প্রচুর অর্থ ব্যয় করে শিমোনাকা ইয়াসাবুরোও তৈরি করিয়েছিলেন কিন্তু অনেক বছর ‘পাল-শিমোনাকা স্মারক’ ভবন সংলগ্ন একটি ঘরে এগুলো সংরক্ষিত ছিল।  

বিচারপতি পাল শেষবার জাপানে আসেন ১৯৬৬ সালে জাপানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘কোক্কা কুনশোও’ গ্রহণ করার জন্য শোওয়া স¤্রাট হিরোহিতোর (১৯০১-৮৯) হাত থেকে। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ‘কলকাতা ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন মুভমেন্ট’ সংস্থার  প্রেসিডেন্ট পদে থেকে শান্তির জন্য কাজ করে গেছেন। ‘পাল-শিমোনাকা কিনেনকানে’ না এলে এতসব তথ্য ও ইতিহাস জানতামই না। এরপর একাধিকবার আমি এই স্মারক ভবনে গিয়েছি বিশিষ্ট জাপানিদেরকে নিয়ে। যেমন জাপানে বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর আশ্রয়দাতা গুরু তোওয়ামা মিৎসুরুর নাতি ‘কুরেতাকেকাই: এশিয়া ফোরামে’র প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী তোওয়ামা অকিসুকে (১৯৪৫-); ইতিহাস গবেষক ও প্রকাশক মোতেকি হিরোমিচি (১৯৪১-); প্রাক্তন আইবিএম-জাপানের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার ও ইতিহাস গবেষক ওওৎসুকা তোশিআকি (১৯৪৯-); গবেষক, লেখক ও ব্যবসায়ী তাকারাদা তোকিও (১৯৪৯-), শিক্ষক, লেখক ও গবেষক হারা য়োশিআকি (১৯৪৮-) প্রমুখ। ২০০৭ সালে তৎকালীন এবং বর্তমান প্রধান মন্ত্রী আবে শিনজোও (১৯৫৪-) এই স্মারকভবনে এসে তথ্যাদি সংগ্রহ করেছিলেন ভারত সফরের প্রাক্কালে। উল্লেখ্য যে, আবের দাদু ছিলেন জাপানে দুবার প্রধানমন্ত্রী কিশি নোবুসুকে (১৮৯৬-১৯৮৭) তাঁর সঙ্গে বিচারপতি পালের গভীরতর বন্ধুত্ব ছিল। ১৯৫২ সালে বিচারপতি পালের রায়কে প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করেছিলেন সেইসময়কার প্রধানমন্ত্রী কিশি। যে রায় প্রকাশের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল বিজয়ী মিত্রশক্তিপ্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা বাহুল্য, যদিওবা এই রায় শ্বেতাঙ্গ সাম্রাজ্যবাদের দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছিল অকাট্য যুক্তির আঘাতে, আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়নে মাইলফলক স্থাপন করেছে, আত্মশক্তি লুপ্তপ্রায় জাপানের মানসিকশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে তথাপি বিচারপতি পাল তাঁর রায়ে জাপানকেও ছেড়ে কথা বলেননি। জাপানকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন পূববর্তী শ্বেতাঙ্গ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে অনুসরণ করে একাধিক ভুল সংঘটিত করার জন্য। অবশ্যই জাপানের প্রতিরক্ষী শেষ সামুরাইযোদ্ধা জেনারেল তোজো হিদেকিও এক বাক্যে স্থির থেকে বলেছেন: ‘জাপান যুদ্ধ করেছে তার অস্তিত্ব রক্ষার্থে’ তথাপি সমস্ত ব্যর্থতা, দোষ এবং ভুলের মাশুল হিসেবে মৃত্যুদন্ডের শাস্তিকে আদালতে সসম্মানে বিনাবাক্যে মাথা নত করে মেনে নিয়ে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। পৃথিবী এরকম সাহসী দেশপ্রেমিক আর দেখেছে বলে জানা নেই। 

টোকিও মিলিটারি ট্রাইব্যুনালের সুদূরপ্রসারী ফলাফল হচ্ছে: 

প্রথমত, ১৯৫৮ সালে জাপান কলম্বো প্রকল্পের অধীনে প্রথম যে ঋণ প্রদানের মধ্য দিয়ে জাপানি সাহায্যের সূচনা করেছিল সেটা প্রথম দিয়েছিল ভারতকে। 

দ্বিতীয়ত, সম্রাটের রাজকীয় প্রাসাদের কাছে টোকিওর কুদানশিতা শহরে অবস্থিত ভারতীয় যে দূতাবাস তার জায়গাও নাকি বিচারপতি পালের অসামান্য অবদানের মূল্যায়নস্বরূপ বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে প্রদান করা হয়েছে বলে বহু বছর ধরে জাপান প্রবাসী জনৈক ভারতীয় প্রবীণ ভদ্রমহিলা একবার বলেছিলেন এই লেখককে। ভেবে দেখলে তার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় কেননা রাজপ্রাসাদ এবং ইয়াসুকুনি যুদ্ধমন্দিরের সন্নিকটে কুদানশিতার মতো জাতীয়তাবাদী চেতনার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এরকম বিদেশি দূতাবাস স্থাপন আশাতীত! 
তৃতীয়ত, বিংশ শতকের প্রথমার্ধ থেকেই অবিভক্ত ভারত জাপানের পরীক্ষিত বন্ধু সেই বন্ধুত্বকে ক্রমেই শক্তিশালী করে চলেছে বিচারপতি রাধাবিনোদ পালের নিরপেক্ষ এবং শিক্ষণীয় ঐতিহাসিক রায়টি, যা প্রতিটি বাঙালির পাঠ করা অবশ্য কর্তব্য এই কারণে যে, প্রকৃতপক্ষে জাপান-ভারত যে সম্পর্ক তার ভিত্তি স্থাপন করেছেন দুই বাংলার একাধিক বাঙালি। বাঙালি যে কত বড় মেধাবী, বিচক্ষণ এবং সাহসী ছিল মাত্র ৭৫ বছর আগেও তাঁর জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছেন বিচারপতি পাল। কিন্তু বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, তাঁকে বাঙালি বা ভারতীরা জানে না বললেই চলে, গবেষণা হওয়া তো দূরের কথা। তাঁর প্রতি বাঙালি ও জাপানি দুই জাতিরই চরম অবহেলা বিদ্যমান। তা না হলে কলকাতায় বিচারপতি পালের একটি স্মারক ভাস্কর্য আজ পর্যন্ত স্থাপিত হয়নি। তেমনি জাপানে অবস্থিত ‘পাল-শিমোনাকা কিনেনকান’ ভবনটিতেও বেশ অযতেœর ছাপ লক্ষ করেছিলাম ২০১২ সালে। পূর্বোক্ত তোওয়ামা অকিসুকে স্যারকে এর গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানোর জন্য তাঁকে ২০০৯ সালে নিয়ে গিয়েছিলাম, তিনিও দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন, ব্যথিত হয়েছেন। জানি না এর পর ভবনটি সংস্কার করা হয়েছিল কী না? 

বর্তমানে এটা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে নিহোন শুপ্পান কুরাবু (ক্লাব), শিমোনাকা জাইদান (ফাউন্ডেশন) এবং হেইবোনশা পাবলিশার কোম্পানি। জাপানের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় রয়েছে এই স্মারক ভবনটি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেল, কোনো কোনো ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ভবনে গিয়েছিলেন। এছাড়াও ভারতীয়রা মাঝে মাঝে যান। বিচারপতি পালের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে তাঁর পুত্র প্রশান্তকুমার পাল, নাতি-নাতনিরা এই স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন বিভিন্ন সময়। 

 

প্রবীর বিকাশ সরকার

সভাপতি, জাপান বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব 
গেষ্ট রিসার্চারঃতাকুশোকু ইউনিভার্সিটি, জাপান,২০০৪-২০০৫
পরিচালক, এশিয়ান সলিডারিটি কাউন্সিল ফর ফ্রিডম এন্ড ডেমোক্রেসি (ফ্রি এশিয়া)
রিসার্চ ফেলোঃদ্যা সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান ষ্টাডিজ, গিফু উইম্যান ইউনিভার্সিটি, জাপান

আর এ/আর এ এস

শিরোনাম

ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতলেন লিওনেল মেসি
১২টি বাসে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে জাপান প্রবাসীদের হেমন্তকে বরণ
কর ফাঁকির অভিযোগে গ্রেফতার জাপানের নিহন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান
নিসান মোটর বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে
গুগলকে জরিমানা করলো রাশিয়া
বাংলাদেশের গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত
বলিউডে সুযোগ পেতে ঘুষ দিয়েছেন রণভীর সিং
টোকিওতে করোনায় ১ জনের মৃত্যু,শনাক্ত ২১
ইম্পেরিয়াল জাপানের তাইশো যুগ
জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে
ওমিক্রনের নতুন টিকা প্রস্তুত করেছে ফাইজার
জাপানে ওমিক্রন করোনা ভাইরাস শনাক্ত
তিন দি‌নের সফ‌রে মালদ্বী‌পের ভাইস প্রেসি‌ডেন্ট এখন ঢাকায়
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে অস্ট্রেলিয়া
সাত ঘণ্টা পর প্রাণ ফিরল মৃত ব্যক্তির দেহে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশিকে চীন সফরের আমন্ত্রণ
সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বিচারক কামরুন্নাহার
টোকিওতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৬ জন
জাহাঙ্গীর মেয়র থাকতে পারেন কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে
আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে বছরের সেরা শিল্পী নির্বাচিত হয়েছে বিটিএস
ঘুরে আসুন ফুজি-হকোনে-ইজু ন্যাশনাল পার্ক
প্রাক্তন সুমো কুস্তিগীর তোয়োনোমির চিরবিদায়
মানবাধিকার রক্ষার প্রচেষ্টায় জাপান আইএলও সমর্থন চাইবে
ঘুরে আসুন টোকিও মেট্রো জাদুঘর
জাপান নারীদলের দ্বিতীয় ট্রামপোলিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয়
পূর্ণ চাঁদের আবির্ভাব ফুজি পর্বতের চূড়ায়
একশ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
জাপানের বিরোধীদলের নেতৃত্বে নতুন প্রার্থী
রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান এয়ার বাফার জোনে প্রবেশ করেছে
হিট অ্যানিমে সিরিজের ১০০০তম পর্বটি ৮০টি দেশে মুক্তি পাবে
যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের সাথে কোয়াড বৈঠকে বসবে জাপান
চালকবিহীন বুলেট ট্রেনের পরীক্ষা চালিয়েছে পূর্ব জাপান রেলওয়ে কোম্পানী
ইমিগ্রেশনের কাছে ব্রাজিল নাগরিকের ১ মিলিয়ন ইয়েন ক্ষতিপুরন দাবী
ইঞ্জুরিতে স্কেটিং চ্যাম্পিয়ন ইউজুরু হানিউ
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী হত্যার সিরিজের জন্য মামলার মুখোমুখি নেটফ্লিক
জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গাবিষয়ক প্রস্তাব পাস
ফেব্রুয়ারীতে ৫-১১ বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিন প্রদানের ঘোষণা
টোকিওতে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০জন
জলবায়ু সম্মেলন থেকে ৩শ’ জনের করোনা পজিটিভি
মহামারী মোকাবেলায় ওষুধ,ভ্যাকসিনের দ্রুত অনুমোদন
ইয়োশিমাসার সাথে চীনের স্টেট কাউন্সিলরের কথোপকথন
জাপান ৪৮৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে অর্থনৈতিক উদ্দীপনায়
সবুজ চায়ের অরণ্য
সাইবেরিয়া থেকে মিয়াগিতে আসছে পরিযায়ী পাখি
আইসিসির অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান হারালেন সাকিব
জাপানের সমুদ্রের মুখোমুখি
আমি যা করার করেছি বাকিটা আইনগত ব্যাপার
জাপানি সেকিহান (লাল ভাত)
হোন্ডা সরবরাহকারীদের কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার অনুরোধ
বেসবলের কিংবদন্তি কোবার চিরবিদায়
রেল স্টেশনে পুলিশ টহল জোরদার
মানবাধিকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত
ফাইজার দরিদ্র দেশগুলোকে করোনার ট্যাবলেট তৈরির অনুমতি দেবে
বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা
মার্কিন সফরের যাচ্ছে জনপ্রিয় টোয়াইস কে-পপ ব্যান্ড
টোকিওতে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ জন
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ওমানকে ১-০ হারিয়েছে জাপান
ফুকুওকা দুর্গ অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান
অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ সনাক্ত করতে কৃমির ব্যবহার
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক চলে গেলেন
সেই কামরুন্নাহারকে সর্বোচ্চ আদালতে তলব
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার শর্টের সিদ্ধান্ত
অস্ট্রিয়ায় ১০ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত
ভার্চুয়াল বৈঠকে বাইডেন-শি জিনপিং
বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি-ডি প্রিন্টার আনলো জাপান
চিকিৎসার জন্য দ্রুত খালেদাকে বিদেশ নেয়ার পরামর্শ মেডিক্যাল বোর্ডের
দেশদ্রোহিতা হল না তো?
জাপান ২য় এসডিএফ স্পেস অপারেশন ইউনিট চালু করবে
বন্দুকধারীদের হামলায় বুরকিনা ফাসোতে পুলিশসহ নিহত ২০
বেবে রুথের সাথে তুলনায় আনন্দিত শোহেই ওহতানি
পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
আজ টোকিওতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিন্মগামী
বাবার স্মৃতিচিহ্ন
শুক্রবার শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখবে গোটা বিশ্ব
সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি রানী ক্লিওপেট্রা
বিয়ে করছেন অভিনেতা মাসাকি সুদা এবং কোমাতুস
সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ৭ম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
কিশিদার মার্কিন সফর নিয়ে আলোচনায় হায়াশি এবং ব্লিঙ্কেন
দইয়ের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয় যেসব খাবার
মিয়ানমারের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ধ্বংস করছে অর্থনীতিকে
মিয়ানমারের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ধ্বংস করছে অর্থনীতিকে
টোকিওতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী
নতুন ৭ ধরনের পরিবর্তন হোয়াটসঅ্যাপে
বিচারিক ক্ষমতা হারালেন বিচারক কামরুন্নাহার
বাংলাদেশে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
পর্তুগালকে ৩৮-২৫ পরাজিত করেছে জাপান
ইকুয়েডরে কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় নিহত ৬৮ বন্দি
সৌদির নাগরিকত্ব পেলেন বাংলাদেশি ক্যালিগ্রাফার মুকতার
না ফেরার দেশে চলে গেলেন লেখক উইলবার স্মিথ
জাতিসংঘের আহ্বান মিয়ানমারে বন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি দেওয়ার
কোভিড-১৯ এর কারনে ২০২২ সালেও ঝুঁকিতে ভ্রমণ সংস্থা
জাপান ত্যাগ করলেন প্রাক্তন রাজকুমারী মাকো এবং তার স্বামী
জাপানের শহরে নভেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ করার সিদ্ধান্ত
ব্রণ কমাতে ত্বক পরিষ্কার রাখুন
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘রেহানা মরিয়ম নূর’
প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
শীতে মৃত্যুঝুঁকিতে আফগানিস্তানের ১০ লাখ শিশু
কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন আজ
জাপানের সাথে ইস্পাত আমদানি শুল্ক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র
জলবায়ু সম্মেলনের সময়সীমা বাড়লো
আইনভঙ্গ করলে শাস্তি পেতে হবে জাতিসংঘ কর্মীদের
ভুলবশত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কুপন পাঠিয়েছে শিশুদের জন্য
বাতিল হবে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিধান
সিরিজ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল
টোকিও মিউনিসিপ্যালে ভোটাধিকার পাবে বিদেশী বাসিন্দারা
সৌন্দর্য-ভালবাসা ও মমির দেশ মিশর
আমি তার প্রেমে পড়েছিলাম
দুর্দান্ত পাকিস্তানকে থামিয়ে দিয়ে ফাইনালে অষ্ট্রেলিয়া
বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়ে সৌদি সরকারের অনুমোদন
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস
কলম্বিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল ব্রাজিল
নারকেলের দুধ দিয়ে হাঁসের মাংস রান্না
ব্রিটিশ কনসাল জেনারেলের ইসলাম গ্রহণ
ভোট ছাড়াই ইউপিতে জনপ্রতিনিধি হওয়ার রেকর্ড
টোকিওতে আজ ২২ জন করোনা আক্রান্ত
এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা
জাপানে পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপ
আমরা কারো নই, কেউ আমাদের নয়
১.৬ মিলিয়ন জনগনের জন্য করোনা ট্যাবলেট সংরক্ষনের সিদ্ধান্ত
টোকিওতে নতুন ৩১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
অবহেলিত ও নিপীড়িত জনগণের কণ্ঠস্বর ছিলেন চে গুয়েভারা
দৈনিক ৮ ঘন্টা করে ৩ মাস বিমান উঠানামা বন্ধ থাকছে শাহাজালালে
এ মাসেই হাসপাতালের ধারনক্ষমতা আরো ৩০ শতাংশ বাড়ানো হবে
মারা গেলেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী জাকুচো
জাপান পর্যটনকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে মিতসুবিশি এস্টেট
পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ দিল চীন
বিয়ে করছেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম
ঘুরে আসুন জাপানের আকিগাহারা অরণ্য
মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া
একটি বিলুপ্তপ্রায় মশলা সিলফিয়াম
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে অস্ট্রেলিয়া
জাপানের উচ্চশিক্ষার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
উরি ব্যাংকে বাংলাদেশিদের চাকরির সুযোগ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ
শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ ১৯ নভেম্বর
চকোলেট পিনাট বাটার আইসক্রিমের রেসিপি
তিন রোগীকে হত্যার অপরাধে প্রাক্তন নার্সকে যাবজ্জীবন
১৮ বছরের কম বয়সীরা পাচ্ছেন ১০,০০০০ ইয়েন
বিয়ে করেছেন আলোচিত নোবেল বিজয়ী মালালা
ইথিওপিয়ায় জাতিসংঘের ১৬ কর্মী আটক
সৌদি ও পোল্যান্ড ৪৮ লাখ টিকা দিচ্ছে বাংলাদেশকে
মার্গারেট হয়ে উঠলেন সিস্টার নিবেদিতা
এনটিটি ডোকোমোর সিস্টেম ব্যর্থতার কারণে ভোগান্তিতে ব্যবহারকারীরা
রূপকথার বিশাল জগৎ টোকিও ডিজনিল্যান্ড
নিলামে বিক্রি হলো স্টিভ জবসের হাতে তৈরি কম্পিউটার
বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা জেমস ও মাইলসের
অধর্মের অন্ধকুপ থেকে মুক্তি চাই
অব্যবহৃত মোবাইল ডেটা পরবর্তী প্যাকেজে যোগ হবে
ওসাকা হাসপাতালে ৩০ বছর ধরে টয়লেটের পানি পান!
ছোট ঘর সাজানোর কিছু নিয়ম
বাবরের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের স্কোয়াড
জাপানের ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান
‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পেলেন কঙ্গনা
মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করলে কী করবেন
আইওআরএ সম্মেলনে যোগ দিতে আসছে ব্রিটিশ মন্ত্রীসহ ১২ দেশের অতিথি
১৫ নভেম্বর থেকে ভারতের টুরিস্ট ভিসা চালু হবে: হাইকমিশনার
নিউইয়র্ক ট্রাফিক এজেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ১২০ বাংলাদেশি
বিশেষ পরীক্ষার দাবিতে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ
হিমালয়ের দুর্গম অংশে মিলল ফরাসি তিন পর্বতারোহীর মরদেহ
৮ নভেম্বর ভারতের ‘পদ্ম’ পুরস্কার গ্রহণ করলেন দুই বাংলাদেশি
জাপানের আকাশে জ্বলজ্বলে শুক্রগ্রহের আর্বিভাব
ইয়েমেনের এক অভিনেত্রীকে ‘অশ্লীলতার’ দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
২০ মাস বন্ধের পর খুলছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত
বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল
তিন ভাগে বিভক্ত হতে যাচ্ছে তোশিবা, সিদ্ধান্ত আসতে পারে শুক্রবার
মাঙ্গা মিউজিয়ামে করোনা টিকার জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের প্রস্তাব
প্রাথমিকের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল
অসময়ে একঝাঁক অদ্ভুত জেলিফিশের আগমন কাগোশিমাতে
কালোজিরা তেল কমায় উচ্চ রক্তচাপ
মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত হলেন সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
`নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু` নতুন আইন কার্যকর নিউজিল্যান্ডে
নতুন সিনেমার ঘোষণা দিলেন আনুশকা শেঠি
উইন্ডোজ ১১ এখন পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে
টোকিওতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
১৫ মাসে আজ প্রথমবার কোভিড রোগীর মৃত্যু খবর নেই জাপানে
জাপানের করোনা বাজেটের ২০০মার্কিন ডলার অব্যবহৃত রয়ে গেছে:অডিট বোর্ড
প্রবাসীদের যথাযথ সেবা প্রদানের জন্য কূটনীতিকদের প্রয়োজন:প্রধানমন্ত্রী
মাইক্রোচিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে ভর্তুকি প্রদানের পরিকল্পনা
শীতকালের রূপচর্চায় নারকেল তেল
আংশিকভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জাপান
শীতে শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন শাক-সবজি
করোনা উপসর্গ নিয়ে টোকিও`র হাসপাতালে ১২ জন ভর্তি
মাছ বা মাংস ম্যারিনেট করার কিছু নিয়ম
একটি তুষার কাঁকড়ার দাম ৮০০,০০০ ইয়েন
টোকিওতে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি
কোভিড-১৯ উপসর্গ প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি মিশ্রণের অনুমোদন জাপানের
ড্রোন হামলার মাধ্যমে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা
পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে হায়াশিকে নিয়োগ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী
গেমস খেলার সুবিধা আসছে নেটফ্লিক্স প্ল্যাটফর্মে
রাজধানীসহ ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্ত ১৩৮ জন
দাবি মানা হলেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে
জাপানি টেনিস তারকা ওসাকা ফিরেছেন প্রশিক্ষণে
হোন্ডা ভারতের ট্যাক্সির জন্য ব্যাটারি শেয়ারিং পরিষেবা শুরু করবে
কোভিডে মৃত্যুঝুঁকি বেশি দক্ষিণ এশীয়দের
বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য ও ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধি: জাতিসংঘ
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গ্লাসগোর শহর জুড়ে বিক্ষোভ,নেতৃত্বে গ্রেটা
জাপানের লোকজ সংস্কৃতি
তেলের দাম বাড়ানোর কারণে সরকারকে সময় বেঁধে দিলো লঞ্চ মালিকরা
যুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে
জাতিসংঘের উল্লেখযোগ্য শিশু অধিকার
মেয়র পদে এরিক অ্যাডামসের নিরঙ্কুশ জয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষার ফল প্রকাশ
জাপানী সুশি রান্নার সহজ রেসিপি
নেদারল্যান্ডসের ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম
মেক্সট স্কলারশিপ ২০২২–এ জাপানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
বিশ্বকাপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিল বাংলাদেশ
এক স্বপ্নের জগৎ কোবে বোটানিক্যাল গার্ডেনের টানেল
প্রতিশ্রুতির ১০টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বাতিল
সিডিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা এডানোর
বিশ্বে যে সব দেশ সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন করছে
জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে জাপান ছাড়লেন ফুমিও কিশিদা
আন্তর্জাতিক বাজারে জাপানের গাড়ি বিক্রিতে রেকর্ড ধস