ছবি:ইন্টারনেট
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে পড়ার প্রভাবে স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততা নেই জাপানের বিমানবন্দরগুলোতে।ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ থেকে আজ মঙ্গলবার হতে নতুন করে আসা কোন বিদেশিকে গ্রহণ করা স্থগিত করেছে জাপান।
জানা গেছে,আজ মঙ্গলবার দুপুরে টোকিও’র নারিতা বিমানবন্দরে অবতরণ করা প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানটি ছিল ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে আসা।নতুন কোন বিদেশিকে এই বিমান থেকে নামতে দেখা যায়নি।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা,করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে সর্তকতায় মঙ্গলবার থেকে বিদেশীদের প্রবেশের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছিলেন,তিনি "সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে" এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তিনি আরও বলেন,"ওমিক্রনের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত এটি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা।"
জানা গেছে,জাপান সরকার ইতিমধ্যেই আফ্রিকার মোট ৯ টি দেশ থেকে আসা নাগরিকদের জাপান ভ্রমনে কড়াকড়ি নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলে ঘোষণা করেছে।দেশগুলো হলো,দক্ষিন আফ্রিকা, বোতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, মালাউই এবং জাম্বিয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার বলেছে ,ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের নতুন ধরণটি "উদ্বেগজনক"। ডব্লিউএইচও সতর্ক করে যে, এটিতে প্রচুর পরিমাণে মিউটেশন রয়েছে যার অর্থ এটি অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য হতে পারে । প্রাথমিক তথ্য প্রমাণে দেখা গিয়েছে যে ওমিক্রনে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি রয়েছে।অর্থাৎ একবার এই ভ্যারিয়েন্টে কেউ আক্রান্ত হলে তার পুনর্বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
উল্লেখ্য,গত ৮ই নভেম্বর থেকে জাপান বিদেশি শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ী এবং কারিগরি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিজেদের সীমান্ত পুনরায় খুলে দেয়। মাত্র তিন সপ্তাহ পরে এই পদক্ষেপ স্থগিত করা হল।
আগামীকাল বুধবার থেকে দেশে পুনঃপ্রবেশ করা জাপানি এবং অন্যান্যদের জন্যও কোয়ারেন্টিন বা অন্যান্য নিয়মাবলী আরও কঠোর করা হবে।
আর সি