ছবি:প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে সর্তকতার অংশ হিসেবে জাপান সরকার মঙ্গলবার থেকে বিদেশীদের প্রবেশের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দেশটির গণমাধ্যমকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি "সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে" এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরো যোগ করেন, "ওমিক্রনের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত এটি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা।"
জাপান বিদেশি শিক্ষার্থী, কর্মী এবং কারিগরি প্রশিক্ষণার্থী’সহ নতুন করে বিদেশিদের দেশে আসার দ্বার ৮ই নভেম্বর উন্মুক্ত করে। এই শর্তে যে তাদের দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থা তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে সম্মত আছে।
জাপান ইতিমধ্যেই নয়টি আফ্রিকান দেশ - বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো, মালাউই, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে-র যে কোনও একটিতে যাওয়া লোকদের জন্য কোয়ারেন্টাইন অব্যাহতি স্থগিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী কিশিদা জানান যে, নামিবিয়া থেকে আসা একজন ব্যক্তি নভেল করোনভাইরাস পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে এবং সেই ব্যক্তিটি কোন প্রকারে সংক্রামিত তা যাচাই করার জন্য বিশ্লেষণ চলছে। ফলাফল পেতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, রবিবার নামিবিয়া থেকে নারিতা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন ওই ব্যক্তি।
এছাড়াও, জাপানি নাগরিক এবং জাপান ভিত্তিক বিদেশী বাসিন্দারা যারা আফ্রিকান দেশগুলি থেকে ফিরে আসছে এবং অন্যান্য ১৪টি দেশ এবং অঞ্চলে তাদের আগমনের পরে একটি সরকারী মনোনীত সুবিধায় আবাসিক হোটেলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে কাটাতে হবে। প্রধানমন্ত্রি কিশিদা ১৪টি অঞ্চলের আর কোন বিশদ বিবরণ দেননি।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, যা গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রথম রিপোর্ট করে এবং তারপরে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, হংকং এবং ইস্রায়েলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশেও এটি শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুক্রবার বলেছে যে নতুন ধরণটি "উদ্বেগজনক"। ডব্লিউএইচও সতর্ক করে যে, এটিতে প্রচুর পরিমাণে মিউটেশন রয়েছে যার অর্থ এটি অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য হতে পারে । প্রাথমিক তথ্য প্রমাণে দেখা গিয়েছে যে ওমিক্রনে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি রয়েছে। অর্থাৎ একবার এই ভ্যারিয়েন্টে কেউ আক্রান্ত হলে তার পুনর্বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
যদিও এটি স্পষ্ট নয় যে বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে কার্যকর কিনা। প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেছেন যে, সরকার এই সপ্তাহের শেষের দিকে বুস্টার ডোজ পরিচালনা শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
আর সি