বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভের আশায় যাওয়া ব্যক্তিদের প্রথম দলকে গ্রহণ করেছে দেশটি। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক পত্রিকা খালিজ টাইমস।
তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সোমবার ঠিক কতজন নাগরিকত্ব প্রত্যাশী দেশটিতে প্রবেশ করেছেন- তা প্রকাশ করেনি সৌদি সরকার।
গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি সরকার জানিয়েছিল, আইন, চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও কারিগরি- এই ছয় ক্ষেত্রে দক্ষ পেশাজীবীদের নাগরিকত্ব দেবে সৌদি আরব।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তার অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সৌদি দৈনিক আরব নিউজকে নিশ্চিত করেছিলেন দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা।
এতদিন পর্যন্ত সৌদি আরবে কর্মরত বিদেশিদের সবাই অস্থায়ী ভিসায় কাজ করতেন। অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে হত তাদের।
তবে নাগরিকত্ব লাভেল প্রত্যাশায় সোমবার যারা গিয়েছেন, তাদের বেলায় এই প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে না। নির্দিষ্ট সময় পর দেশটির স্থায়ী নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে তাদের।
অবশ্য দু’বছর আগে, ২০১৯ সালেই সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিজ্ঞানী, গবেষক, উদ্ভাবক, বিনিয়োগকারী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে যথাযথ মর্যাদাসহ সৌদি আরবে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ ও নাগরিকত্ব প্রদানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবকে আপন করে নেওয়ার মাধ্যমে তারা যেন দেশটির সার্বিক উন্নতিতে অবদান রাখতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল সে সময়।
সরকারের বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় অবশ্য বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের দক্ষ পেশাজীবী ছাড়াও কিছু বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন দেশের উপজাতিদেরও নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
যেসব ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের প্রাধান্য দেওয়া হবে সেই ক্ষেত্রসমূহ হলো- ফরেনসিক ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষি, পারমাণবিক ও নবায়নযোগ্য শক্তি, তেল ও গ্যাস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিল্প, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি।
সৌদি সরকারের এক কর্মকর্তা এ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবকে বিশ্বের শীর্ষ মেধার অন্যতম একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চান।’
‘প্রিভিলেজড ইকামা’ নামে এই প্রকল্পটি সৌদি গ্রিন কার্ড নামেও পরিচিত।
আর সি