বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে দিয়েছে আদালত।আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
আজ রবিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।নতুন দিন ধার্যের সময় পলাতক তিন আসামি ছাড়া বাকি আসামিরা আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সেটি প্রকাশ করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া জানান, মামলায় ২৫ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।হত্যার অভিযোগ প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।১৪ নভেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য রবিবার ধার্য করেন আদালত।
নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে বলেন,আমার ছেলের খুনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড যেন হয়।কেউ যেন ছাড়া না পায়।একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক, যেন পড়াশোনা করতে এসে কেউ নির্যাতনের শিকার না হয়। কেউ যেন হত্যা করার সাহস না পায়।
উল্লেখ্য,২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।একই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।পরে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।এই ২৫ জনের মধ্যে ২২ জন কারাগারে রয়েছেন।পলাতক রয়েছেন তিনজন।
আর সি
