ছবি:বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ
বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায় আজ ঘোষণা করবেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়েছে।আজ রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কারাগার থেকে ২২ আসামিকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় আনা হয়।এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) আবদুল হাকিম।
দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তা আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে রয়েছেন।পলাতক তিনজন।
কারাগারে থাকা ২২ জন আসামি হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. আকাশ হোসেন, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, অমিত সাহা, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান ও এস এম মাহমুদ সেতু।
পলাতক তিন আসামি হলেন মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। ১৪ নভেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। তাঁরা ২৫ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।
আর সি