ছবি:ইন্টারনেট
জাপান আগামী বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের সাথে প্রথমবারের মতো একটি কোয়াড গ্রুপ বৈঠকের আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে।হোয়াইট হাউসের সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেল শুক্রবার বলেছেন, চারটি দেশের গভীর সম্পর্ক প্রদর্শনের আরেকটি সুযোগ হিসাবে কাজ করতে পারে এ কোয়াড বৈঠক।
এবার ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার এই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারে, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আগ্রাসন। এদিকে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কও খুব একটা ভালো নয়। এক্ষেত্রে কৌশলগত ভাবে আরও কাছাকাছি আসতে পারে ভারত-আমেরিকা।
ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওনে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও জাপানের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। ASEAN সামিটের ঠিক এক দিন আগে হয়েছিল এই বৈঠক। এর পরই চার দেশের তরফে আলাদা আলাদা বিবৃতি জারি করা হয়। পরের দিকে একাধিক বৈঠকে ফের আলোচনায় বসে এই চার দেশ।
বছর তিনেক পরে অর্থাৎ ২০২০ সালে টোকিওতে বৈঠক করে চার দেশ। কিন্তু সেই বৈঠকেও চিনের বিরুদ্ধে তেমন কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকি চারটি দেশের বিদেশমন্ত্রী তাঁদের মতো করে বিবৃতি দিয়েছেন। কোনও যৌথ বিবৃতিতে পর্যন্ত পৌঁছানো যায়নি। সংশ্লিষ্ট করোনা ইস্যুতে চিনকে দোষারোপ করে আমেরিকা। যথেষ্ট সুরও চড়ায়। কিন্তু বাকি দেশগুলির তরফে সেই রকম কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি।
সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটনে প্রথম ব্যক্তিগত কোয়াড সম্মেলনের সময়, চারটি দেশের নেতারা "মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক" প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বৈঠক করতে সম্মত হন।
ক্যাম্পবেল বলেছিলেন যে,কোয়াড একটি "আনুষ্ঠানিক জোট" নয় এটি একটি অনানুষ্ঠানিক সমাবেশ।
জাপান বলেছে যে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে অংশ নেওয়ার জন্য এবং আলোচনায় প্রবেশের জন্য চীনের জন্য উচ্চ-মানের নিয়ম মেনে চলা একটি পূর্বশর্ত হবে।
আর সি