ছবি:টোকিও বাংলা নিউজ
রাষ্ট্র কি এভাবেই পরিবহন শ্রমিকদের কাছে জিম্মি থাকবে? হঠাৎ মন চাইল আর কর্মবিরতি দিলাম, রাষ্ট্রের-জনগণের ভোগান্তি কোনো ব্যাপার না? দাবি আদায়ে ধর্মঘট, অনশন, প্রতিবাদ হতেই পারে। তার সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে। আগে থেকে দাবি উত্থাপন করতে হয়, এবং তা অবশ্যই যৌক্তিক হতে হয়। ধর্মঘটের আল্টিমেটাম দিতে হয়, এভাবে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নাগরিকের বিপদ চিন্তায় রেখে ধর্মঘট করতে হয়। গেল বছর দেখেছি চিকিৎসকরা ধর্মঘট করেছেন, জরুরি বিভাগ খোলা রেখে। কিন্তু আমাদের বাসশ্রমিকরা ঠুনকো বিষয়েও হুটহাট ধর্মঘট করেন। তাদের এক পৃষ্ঠপোষক তো একবার মিডিয়ার সামনেই বলেছেন, রাষ্ট্র অচল করে দেব। বলা বাহুল্য তিনি সরকারেরই মন্ত্রী তখন। শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিনিয়ত সহ্য করে এদেশের মানুষ। যারা ঢাকা শহরে পাবলিক বাসে চড়েন, তারা জানেন সাধারণ নাগরিকরা বাসশ্রমিকদের কাছে কতটা অসহায়। এসবের পরও শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেই। তারা প্রশ্রয় পেয়ে যা-ইচ্ছে করে। বুঝলাম, তারাও রাষ্ট্রের নাগরিক। বিশাল সংখ্যা। তাদের ক্ষেপাতে চায় না। তাহলে বিকল্প চিন্তা করুক। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিআরটিসির সংখ্যা বাড়াক। এমন ধর্মঘটের দিনে রাষ্ট্রীয় চুক্তিতে কিছু মালিকানা গাড়িও চলতে পারে। বাধ্যতামূলক প্রত্যেক বাসমালিক থেকে কিছু গাড়ি রাস্তায় ছাড়ুক। আজ ২৪টা চাকরির পরীক্ষা ছিল। বেকারত্বের এই সময়ে এটা কত জরুরি উপরের আসনে বসে হয়তো তারা বুঝবেন না। কিন্তু লাখ লাখ চাকরিপ্রার্থী এই ধর্মঘটের ভেতর পরীক্ষা দিলেন। কী পরিমাণ মানসিক চাপ পড়ে একটু চিন্তা করার অনুরোধ। বেকার এই তরুণদের বাড়তি খরচের কথা বাদই দিলাম। বাদ দিলাম অসুস্থ, বৃদ্ধ, মধ্যবিত্তদের কথা। বাদ দিলাম সোনার শ্রমিকদের কর্মের আলোচনাও। তবে চাই- সরকার সিদ্ধান্ত নিক এবং তা জনগণকে পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিক।
চার.এগারো.একুশ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা।
আর সি