ছবি:আছাহি ডট কম
অবশেষে জানুয়ারিতে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিলো সৌদি আরব ও রাশিয়া।করোনাভাইরাস বাড়ায় বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা কমে গেছে।মার্চের শেষে ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে তেলের দাম।তেলের দাম নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশগুলো একটি ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করে।
জানা যায়,রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যে চলমান মতবিরোধের জন্য আলোচনাটি জটিল হয়ে পড়ে।তবে ওপেক ও এর মিত্ররা দিনে ১ কোটি ব্যারেল উৎপাদন কমাতে রাজি হয়,যা বিশ্বের মোট সরবরাহের ১০ শতাংশ।আশা করা হচ্ছে, অন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো দিনে পাঁচ লাখ ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমাবে।
প্রথমে আগামী মে ও জুন মাসে এক কোটি ব্যারেল করে কমানো হবে।ধীরে ধীরে এই পরিমাণ কমিয়ে আনা হবে।অর্থাৎ,জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন কমানো হবে ৮০ লাখ ব্যারেল।পরে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কমানো হবে দৈনিক ৬০ লাখ ব্যারেল।
আরও জানা যায়,আজ শুক্রবার এ বিষয়ে সৌদি আরবের নেতৃত্বে জি–২০ দেশগুলোর জ্বালানিমন্ত্রীরা বৈঠক করবেন।রাশিয়ার সম্পদ তহবিলের প্রধান ও মস্কোর কিরিল দিমিত্রিভ বলেন,আমরা আশা করছি অন্য উৎপাদকেরাও এতে যোগ দেবে। আগামীকাল জি–২০–এর বৈঠকের মধ্য দিয়েই তা হতে পারে।
প্রসঙ্গত,তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।তারা বলছে,তেলের দাম কমে যাওয়ায় তাদের উৎপাদন এমনিতেই কমে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য,জ্বালানি তেলের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণে ৫ মার্চ থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৈঠকে বসে ওপেক ও নন-ওপেক দেশগুলো।এতে সিদ্ধান্ত হয়,তেলের দাম বাড়াতে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন দিনে ১৫ লাখ ব্যারেল কমাবে তারা, যা বিশ্বের মোট সরবরাহের প্রায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
আর সি