জাপানের রাজধানী টোকিও'র মধ্যে বাঙালি পাড়া হিসেবে গড়ে উঠেছে কিতা ওয়ার্ড এর হিগাশি জুজো এলাকা। কেউ কেউ এই এলাকাকে মিনি ঢাকাও বলে থাকে।ভালবাসার মাত্রাকে ছাড়িয়ে আবার কেউ কেউ মিনি বাংলাদেশও বলতে শোনা যায় এই হিগাশি জুজোকে।
হিগাশি জুজো ঘুরলে দেখা যায়, অনেক বাঙালী লুঙ্গি পরে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে আবার অনেককে মোবাইলে জোরে শব্দ করের বাংলাদেশে তাদের আত্মীয় পরিজনদের সাথে কথা বলতেও শোনা যায়।
পিছনে ফিরলে দেখা যায়, প্রায় আড়াই যুগ আগে থেকেই এই এলাকায় বাঙালিদের পরিচালিত হালাল খাবার এবং স্পাইসের দোকান ছিল। দোকানের নাম ছিল সোনালী হালাল শপ আর এর মালিক ছিলেন মোঃ কাউছার ভূঁইয়া। এই দোকানকে ঘিরে হিগাশি জুজোতে বাঙালির আড্ডা জমতো প্রায় প্রতিদিন। এখন হালাল খাবারের দোকান প্রায় দশটিরও বেশি রয়েছে এই এলাকায়। রয়েছে বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি একটি মসজিদও গড়ে তোলা হয়েছে এখানে। জানা যায়, এই এলাকায় প্রায় পাঁচশত বাঙালির বসবাস। প্রায়ই স্থানীয় কমিউনিটি হলে বাঙালিদের দ্বারা নানা ধরনের ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও এই এলাকায় বসবাসরত বাঙালিদের দ্বারা পরিচালিত কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠনও রয়েছে। এসব দিক চিন্তা করলে কিতা ওয়ার্ডের এই হিগাশি জুজোকে মিনি বাংলাদেশ বা মিনি ঢাকা বললেও অত্যুক্তি হবে না।
মূলতঃ ঘিঞ্জি আবাসিক এলাকা হলেও নাগরিকদের সুবিধার জন্য সবকিছুর ব্যবস্থাই রয়েছে এখানে। গত কিছুদিন আগে জাপানের একটি দৈনিক পত্রিকায় এই এলাকা নিয়ে বেশ বড় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। যার শিরোনাম করা হয়েছে "হিগাশি জুজো টোকিওর ঢাকা"। প্রতিবেদনের সাথে মসজিদ, হালাল খাবারের (স্পাইস) দোকান এবং বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট টাইগারের ছবি দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশি হিসেবে যেকারো জন্য গর্বের।
আর এ/আর এ এস