
ছবি: আপন দেশ
আজ (১২ জুলাই) মঙ্গলবার সরকারি অফিস-আদালত-ব্যাংক-বীমা খুললেও ঈদের ছুটির আমেজের কমতি পড়েনি। ঈদের দু’দিনের মতো আজ তৃতীয় দিনও সুনশান নীরব রাজধানী, রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা। সড়কগুলোতে রাজধানীবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী চিরচেনা যানজট নেই। অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁও বন্ধ। অধিকাংশ দোকানপাট, শপিংমল, বাণিজ্যকেন্দ্র বন্ধ।
যানজটের বালাই তো নেই-ই, সড়কে মানুষ ও রিকশা-গাড়ির চলাচলও অপ্রতুল। ফলে, যেসব গন্তব্যে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যেত, সেগুলোতে এখন যাওয়া যাচ্ছে কয়েক মিনিটেই। জনসমুদ্র ও যানজটের নগরী ঢাকার এ অন্য রূপ, যা কেবল বছরে দুইবার ঈদ-উৎসবের সময় দেখা মেলে।
মতিঝিল, গুলিস্থান, পল্টন, সচিবালয়, কাকরাইল, হাইকোর্ট, মৎস্যভবন, শাহবাগ, ঝিগাতলা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, শ্যামলী ও কল্যাণপুর, মীরপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাংলামোটরে কথা হয় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আব্দুল আজীজের সঙ্গে। তিনি বলেন, খুলনা থেকে গতকাল রাতে ঢাকা এসেছি। ঢাকায় পৌঁছতে মাত্র ৩ ঘণ্টা লেগেছে। পদ্মা সেতু হয়ে এসেছি। সড়কে কোনো যানজট নেই, একেবারে ফাঁকা। আবার সায়দাবাদ থেকে থেকে মালিবাগ আসতে মাত্র কয়েক মিনিট লেগেছে।
তার মতে, ঢাকার সড়কগুলো যদি সবসময় এমন যানজট মুক্ত থাকত, তবে তা হতো সত্যিই খুবই দারুণ ব্যাপার।
কারওয়ানবাজার মোড়ে কথা হয় আরেক কর্মজীবী আব্দুস সালামের সাথে। ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা এ ব্যক্তি বলেন, ঈদের দিন ধরে ঢাকা অন্য রূপ লাভ করে। সুনশান, যানজট, মানুষজট ও শব্দদূষণমুক্ত সুন্দর এক শহর যেন। তবে, ঈদ শেষ সারা দেশ থেকে মানুষজন ঢাকাতে আসার পর আর এ দৃশ্য থাকবে না।
কেবল রাজপথ নয়, রাজধানীর অলিগলিতেও ঈদের ছুটির আমেজ বিরাজমান। ঢাকার অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁয় বন্ধ। আকার কোনো কোনোটা খোলা থাকলেই দায়সারা আয়োজন ও লোকজন প্রায় শূন্য। রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলির ছোট মুদির দোকান ও চায়ের দোকানগুলোতেও নেই চিরচেনা আড্ডা, একটা বড় অংশই বন্ধ। ফাঁকা অলিগলিতে খুব কম সংখ্যক মানুষ বের হচ্ছেন, তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারাও বের হচ্ছেন না।
আপন দেশ ডটকম/ আবা