Apan Desh | আপন দেশ

ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই ৩৮ ব্যবসায়ির

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ৯ জুলাই ২০২২

ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই ৩৮ ব্যবসায়ির

ছবি: আপন দেশ

কুমিল্লার চান্দিনা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার রাত পৌনে ৩টায় উপজেলা সদরের মধ্য বাজারে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণ হয় ভোর ৫টায়। ততক্ষণে ৩৮টি দোকান মালিকের ৪৩টি দোকান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়। এছাড়া ফুটপাতে থাকা অন্তত ২০টির বেশি ক্ষুদ্র দোকান পুড়ে যায়। ঈদের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এই অগ্নিরকাণ্ডের ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। 

শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজ খবর নিয়ে পাশে দাঁড়াতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। প্রতিটি ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরি করে তাৎক্ষণিক ভাবে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন।

সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর, পৌর মেয়র মো. শওকত হোসেন ভূঁইয়াসহ উপজেলা ও পৌরসভার কর্তকর্তার এসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করেন। তাদের ওই তালিকায় ৪৩টি দোকানের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

বাজারের মুদি ব্যবসায়ী বিমল নন্দি দোকানের ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে বাকরুদ্ধ। কারো কোনো কথারই জবাব দিচ্ছেন না। হঠাৎ বুক ফাঁটা চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘শুধু ক্যাশের মধ্যেই নগদ ১০ লাখ টাকা ছিল। আজকের শেষ বেচাটা বেচতে পারলেও তো হইতো।’ 

চান্দিনা চাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির সভাপতি কাউন্সিলর দুলাল মিয়া জানান, অগ্নিকাণ্ডে আমার ৩টি দোকান পুড়ে অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঈদের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে প্রতিটি দোকানেই ছিল মালামালে ভরপুর। শনিবার চাঁন রাতের বেচাকেনা করার জন্য অপেক্ষায় ছিল ব্যবসায়ীরা। 

বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাহারুল ইসলাম বাহার জানান, বাজারের যে অংশটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে পুরো অংশটি পৌরসভা নির্মিত চাল বাজার। এ বাজারের ৪৩টি দোকানের মধ্যে ১৯টি দোকানই মুদি ব্যবসায়ীদের। বাকিগুলোতে চাল ও অন্যান্য দোকান রয়েছে। ৪৩টি দোকানের আশপাশে ফুটপাতে রয়েছে অন্তত ২০টির মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান। আগুনে সব পুড়ে ছাই। 

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার অনয় কুমার ঘোষ জানান, আমাদের ২টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। আশপাশের মার্কেটগুলোতে যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে আমরা সেই চেষ্টা করেছি। 

বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কথা শুনেন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করতে পৌরসভাকে নির্দেশ প্রদান করেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌর মেয়র, থানার ওসি, বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়