
অধ্যাপক মুজাহেরুল হক
গত কয়েকদিন ধরে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী হলেও একে মহামারীর চতুর্থ ঢেউ বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মুজাহেরুল হক। তিনি বলেছেন, সংক্রমনের এ উর্ধ্বমুখী প্রবনতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঢাকা কেন্দ্রিক।
মুজাহেরুল হক বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশকে বলেছেন, ‘এক ঢেউয়ের পর্যায় থেকে অন্য ঢেউয়ে প্রবেশের জন্য সামাজিক সংক্রমণ প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশে সংক্রমণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঢাকায় সনাক্ত করা হচ্ছে। তাই, একে করোনার চতুর্থ ঢেউ বলা যাবে না।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ১,১৩৫ জনের করোন ভাইরাস শনাক্ত করেছে। আর এ ভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন এ করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১,০৮০ জন, চট্টগ্রামে ৩৩ জন, খুলনায় আটজন, বরিশালে ছয়জন, রাজশাহীতে চারজন, সিলেটে তিনজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন।
নতুন করোনা শনাক্তের তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিকে এখনই করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ হিসেবে উল্লেখ করার সময় এখনো আসেনি। তবে এ প্রবণতা প্রতিহত করতে না পারলে আমাদেরকে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মুখোমুখি হতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়েই করোনা সনাক্ত, দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা এবং প্রয়োজনে কোয়ারেনটাইনই কেবল আসন্ন চতুর্থ ঢেউ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশের পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মুজাহেরুল হক বলেন, জনগণকে মাস্ক পরা এবং সর্বত্র স্বাস্থ্য নির্দেশিকা পালনে বাধ্য করার জন্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ঢাকায় করোনার সংক্রমণের হার বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষ এখানে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা পালনে খুব বেশি আগ্রহী নয়। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে সরকারেরও আন্তরিকতার অভাব লক্ষ্যনীয়।
তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস পর গত কয়েক দিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণের হার আবার বাড়ছে। করোনা সংক্রমনের এ প্রবণতা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, বাংলাদেশও করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ে ঢোকার শঙ্কা রয়েছে।
আপন দেশ ডটকম/ আবা