Apan Desh | আপন দেশ

জামালপুরে বন্যায় ১২৫ স্কুল বন্ধ, ডুবেছে বহু ফসলি জমি

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২২ জুন ২০২২

জামালপুরে বন্যায় ১২৫ স্কুল বন্ধ, ডুবেছে বহু ফসলি জমি

ছবি : আপন দেশ

জামালপুরে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদনদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানি যমুনার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার, দেওয়ানগঞ্জের খোলাবাড়ি পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ। 

প্রবল বেগে আসা পানি ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জে ইতোমধ্যেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও গো খাদ্যের সঙ্কট।

বন্যায় প্লাবিত এলাকা ছাড়াও জেলায় ভারী বর্ষণের কারণে নিম্নাঞ্চলে পানি আটকে পড়ায় ১০৩টি প্রাথমিক ও ২২টি মাধ্যমিক স্কুলে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এল.এম রেজুয়ান জানিয়েছেন, অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে ডুবে গেছে ৩৬০ হেক্টর জমির ফসল। এর মধ্যে পাট ৩২০ হেক্টর, আউশ ১৫ হেক্টর ও শাকসবজি ২৫ হেক্টর। 

জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতিভাঙ্গা, পার রাম রাম পুর, চর আম খাওয়াসহ ৬টি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক জানান, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলায় ১০৩টি প্রাথমিক স্কুল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে উপদ্রুত এলাকা ছাড়াও ভারী বর্ষণে মাঠ ও কক্ষ নিমজ্জিত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে কিছু বিদ্যালয়ও। তবে পানি নেমে গেলে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হবে। 

জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইভা জানান, বন্যার পানি ঢুকায় জেলার দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলায় সাময়িকভাবে ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বিরতি রাখা হয়েছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হবে। এছাড়া উপদ্রুত এলাকার বিদ্যালয়গুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যেই দুটি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেয়া হয়েছে এবং কয়েকটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিটি উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ লাখ টাকা ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

আপন দেশ ডটকম/ আবা 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়