Apan Desh | আপন দেশ

চট্টগ্রামে পাহাড় ধস: প্রাণহানি ঠেকাতে খোলা হয়েছে ১৯ আশ্রয়কেন্দ্র

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৪:১২, ১৮ জুন ২০২২

আপডেট: ১৬:০৫, ১৮ জুন ২০২২

চট্টগ্রামে পাহাড় ধস: প্রাণহানি ঠেকাতে খোলা হয়েছে ১৯ আশ্রয়কেন্দ্র

ছবি : আপন দেশ

চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানাধীন দুটি এলাকায় পাহাড় ধসে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। নিহতদের মধ্যে দু’জনই মহিলা। তাই পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। 

শনিবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার প্লাবণ কুমার বিশ্বাস।

নগরের বাটালি হিল, মতিঝর্ণা, আকবরশাহ, হিল-১, হিল-২ এবং বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন পাহাড়, ফয়েজ লেক সংলগ্ন ১ নম্বর ঝিল, ২ নম্বর ঝিল, ৩ নম্বর ঝিল, আমিন জুট মিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ঝুঁকি নিয়ে শত শত পরিবার তাদের বসতঘর তৈরি করেছেন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেখান থেকে বেশকিছু পরিবারকে নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হলেও কিছু পরিবার থেকে যায়।

এর আগে শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করা হয়। প্রস্তুত রাখা হয় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলি ও চান্দগাঁও সার্কেলাধীন ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়াও সীতাকুণ্ড উপজেলা, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, চন্দনাইশ, হাটহাজারী, লোহাগাড়াতেও পাহাড় ধস এবং ফ্ল্যাশ ফ্লাডের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। 

নগরে ৬৫ পাহাড়ের মধ্যে ৩৪ পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। এর মধ্যে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১টি। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪টি।

প্লাবণ কুমার বিশ্বাস বলেন, গতকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জেলা প্রশাসের পক্ষ থেকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমাদের ভলান্টিয়ার রয়েছে। কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ দেখালে আমাদের ভলান্টিয়াররা তাদের সেখানে নিয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে তাদের সরিয়ে আনতে। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও রাত ৩টার দিকে ফয়েস লেকের বিজয় নগর এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যু হয়। 

এদিকে, টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের চকবাজার, বাদুরতলা, দুই নম্বর গেট, বাকলিয়া, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ সিডিএ ও ষোলশহরসহ নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে নগরীর নিচু এলাকার অনেক বাসা-বাড়ির পার্কিং ও নিচতলায় বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৪৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজকেও থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

আপন দেশ/ আবা

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়